মানবতাবিরোধী অপরাধে আব্দুস সামাদের মৃত্যুদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট- মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার রাজাকার আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

এর আগে গত ৮ জুলাই উভয়পক্ষের যুক্তি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। সোমবার (২৬ আগস্ট) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা ও প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলাকালে নাশকতার এক মামলায় গ্রেফতারের পর ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি আব্দুস সামাদকে গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমভাগ এবং গোটিয়া গ্রামে আাদিবাসী ও বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালান আব্দুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা রাজাকার।

১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পুঠিয়া আক্রমণ করে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে তিনি তাদের সঙ্গে যোগ দেন। একাত্তরের ১৯ এপ্রিল তিনি ৩০-৪০ জন হানাদারকে নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে যান। সেখানে তারা ২১ জনকে আটক করেন। তাদের নিয়ে রাখা হয় গোটিয়া গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বাড়িতে। সেখানে দিনভর নির্যাতন করে ১৭ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তার নির্দেশে বাকি চারজনকে পুঠিয়ার দুর্গাপুরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তার নির্দেশে পশ্চিমভাগ মাদরাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আক্কেল আলীর ছেলে আবদুস সাত্তারকে। পশ্চিমভাগ সাঁওতাল পাড়ার ধনাঢ্য আদিবাসী লাডে হেমব্রমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।